দেশের কৃষি উৎপাদন ও বৈচিত্র্য বাড়াতে প্রথমবারের মতো ১০টি নতুন ফসলকে কৃষিঋণের আওতায় এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় খিরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালোজিরা, বস্তায় আদা, রসুন, হলুদ ও খেজুরের গুড় চাষে ঋণ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীতে নতুন অর্থবছরের নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এসব নতুন ফসল চাষে ঋণ চালু হলে কৃষকের আয় বাড়বে, কর্মসংস্থান ও রপ্তানির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের সহায়তা বাড়ানো জরুরি। এজন্য তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে, কারণ অনেক কৃষকের ব্যাংক ঋণে প্রবেশাধিকার নেই। প্রকৃত কৃষকের হাতে ঋণ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দালালচক্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত। বড় লক্ষ্য ধরে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো ছোট লক্ষ্য পূরণের চেয়ে বেশি কার্যকর হবে। ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তাদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে উদ্বুদ্ধ করা হলে সবাই লাভবান হবে। তবে বড় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের ৩৮ হাজার কোটি টাকার চেয়ে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।