যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে নতুন স্নাতকদের বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ১ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। জীববিজ্ঞান ও শিল্পকলার স্নাতকদের তুলনায় এ হার দ্বিগুণের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে নতুন স্নাতকদের বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ১ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। জীববিজ্ঞান ও শিল্পকলার স্নাতকদের তুলনায় এ হার দ্বিগুণের বেশি।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক কম্পিউটার সায়েন্স স্নাতক বেশ হতাশাজনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানাসি মিশ্রার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পড়াশোনা শেষ করার আগে তাকে বলা হয়েছিল, তিনি চাকরি পেলে বার্ষিক বেতন হবে ডলারে ছয় অঙ্কের। কিন্তু স্নাতক হওয়ার পর তিনি মাত্র একবার ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পান, সেটিও ফাস্টফুড চেইন চিপোটলের কাছ থেকে। তবে সেই ইন্টারভিউয়ের পরও চাকরি পাননি তিনি।
অন্যদিকে, ওরেগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জ্যাক টেলরের পরিস্থিতিও একই রকম হতাশাজনক। ২০২৩ সালে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর তিনি প্রায় ৬ হাজার চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এতগুলো আবেদন করার পরও কোনো চাকরি পাননি। সব মিলিয়ে মাত্র ১৩টি ইন্টারভিউয়ের সুযোগ মিলেছিল। কিন্তু সেখান থেকেও কোনো নিয়োগের প্রস্তাব আসেনি। এমনকি কাজের অভিজ্ঞতার অভাব দেখিয়ে ফাস্টফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসও তাকে নিয়োগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে প্রোগ্রামিং করার ফলে প্রযুক্তি খাতে জুনিয়র পর্যায়ের চাকরির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। একই সঙ্গে অ্যামাজন, মেটা ও মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে নতুন স্নাতকদের জন্য সুযোগ আরো সীমিত হয়ে পড়ছে।
অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা এক ধরনের ‘এআই ডুম লুপ’-এ আটকে পড়েছেন। অর্থাৎ, তারা এআই ব্যবহার করে একসঙ্গে বহু চাকরিতে আবেদন পাঠাচ্ছেন। কিন্তু নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোও এআই-ভিত্তিক বাছাই পদ্ধতি ব্যবহার করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই আবেদন বাতিল করে দিচ্ছে।
তবে শেষ পর্যন্ত মানাসি মিশ্রা ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হন। হতাশার মধ্যেও তিনি ঠান্ডা মাথায় নতুন করে একটি চাকরির আবেদন পাঠান। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের কঠিন চাকরির বাজার নিয়ে টিকটকে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন। এসব উদ্যোগ তার বিষয়গুলো নজরে আসতে সাহায্য করে এবং শেষ পর্যন্ত একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান তিনি।