আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
টানা চার কার্যদিবস পতনের পর সোমবার (১১ আগস্ট) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে দিনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।
কিন্তু প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই বদলে যায় বাজারের চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। এতে মূল্যসূচকের পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০১টির। আর ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবসের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো ১৯১ পয়েন্ট। এর আগে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪ হাজার ৬৭৭ পয়েন্ট থেকে দফায় দফায় বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে ওঠে। ২৮ কার্যদিবসে এই উত্থান হয়। অর্থাৎ ২৮ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮৫৯ পয়েন্ট।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক সোমবার দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১০ কোটি ৮৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৬০ কোটি ৬৪ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৫৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।