নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার সদস্য স্মোট্রিচ বলেছেন, এই নতুন পরিকল্পনা হামাসকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু তিনি এর ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। তার মতে, ইসরায়েলি সেনারা এর আগেও গাজা সিটিতে প্রবেশ করে হামাসকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই এই পরিকল্পনা পুরোনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়।
এদিকে, তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে। অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, এই অভিযান গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকটকে আরো খারাপ করে তুলতে পারে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, গাজায় অভিযান চালালে ইসরায়েলি সেনাদের জন্য এটি ‘ভিয়েতনামের’ মতো হয়ে যেতে পারে। তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে এক করার জন্য আরব দেশগুলোর নেতৃত্বে একটি জাতিসংঘ মিশনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন ইতালি এতে অংশ নিতে প্রস্তুত।
গাজায় এরই মধ্যে তীব্র দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, চলছে পানিরও সংকট। শনিবার ত্রাণ বিতরণের সময় একটি বাক্স প্যারাসুটে করে ফেলার সময় সেটি ১৪ বছর বয়সী কিশোরের ওপর পড়ে সে নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুদ্ধে ত্রাণ বিতরণের সময় এ পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও ক্ষুধায় আরো পাঁচজন মারা গেছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এতে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে ১০০ জনই শিশু।
দুই বছর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে গাজায় থাকা ৫০ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।