এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, দেশের মোট জিডিপির ১৩ শতাংশ বাজেট করা হলেও রাজস্ব আদায় হচ্ছে মাত্র ৮ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ ঘাটতি ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হচ্ছে। এ ঋণ পরিশোধে বড় ধরনের অসুবিধা তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, দেশের মোট জিডিপির ১৩ শতাংশ বাজেট করা হলেও রাজস্ব আদায় হচ্ছে মাত্র ৮ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ ঘাটতি ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হচ্ছে। এ ঋণ পরিশোধে বড় ধরনের অসুবিধা তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।
তিনি আরো বলেন, করদাতাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। এ বছর নট ফর প্রফিট সংস্থা ও কিছু সরকারি সংস্থাকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্ন জমার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে অতিরিক্ত ৯০ দিনের সুবিধা রাখা হয়েছে। তবে শুধু কর হার কমিয়ে দিলে কর আদায় বাড়বে না; করদাতাদের মানসিকতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা—দুই দিকেই পরিবর্তন আনতে হবে।
ভ্যাট ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা মাত্র ৬ লাখ, যা খুবই কম। কর ও ভ্যাট দু’ক্ষেত্রেই নন-কমপ্লায়েন্টদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমপ্লায়েন্ট করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে তিনি মত দেন।