কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১১.৯২ শতাংশ কমে ৯.১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে যে, এই প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাত একাধিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি পোশাকের উপর ৩৫ শতাংশ প্রতিকূল শুল্ক আরোপের ঘোষণা।
যদিও এখনও কার্যকর হয়নি, এই পদক্ষেপ অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে এবং কিছু ক্রেতাকে অর্ডার স্থগিত করতে প্ররোচিত করেছে।
স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির উপর ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার ফলে সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া দুই মাসব্যাপী আন্দোলন শুল্ক ছাড়পত্র ধীর করে দেয়, চালান বিলম্বিত করে এবং সময়মতো সরবরাহ ব্যাহত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খরচ এবং রপ্তানি বাজারের সীমিত বৈচিত্র্যের সাথে মিলিত হয়ে রপ্তানি প্রবণতার অস্থিরতা বৃদ্ধি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, কানাডা এবং বেলজিয়াম এই প্রান্তিকে বাংলাদেশি পোশাকের শীর্ষ গন্তব্যস্থল হিসেবে রয়ে গেছে, যা মোট আয়ের ৬.৫৫ বিলিয়ন ডলার বা ৭১.৮৯ শতাংশ।
রপ্তানি আয় থেকে কাঁচামাল আমদানি খরচ বাদ দেওয়ার পর, নেট অর্থে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এই খাত ৫.১৮ বিলিয়ন ডলার বা মোট পোশাক রপ্তানির ৫৬.৭৮ শতাংশ আয় করেছে।
ত্রৈমাসিক পতন সত্ত্বেও, শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, নিটওয়্যার এবং বোনা উভয় ধরণের চালানের বৃদ্ধির ফলে ২০২৫ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি ৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি।