যুক্তরাজ্যজুড়ে এক ‘সপ্তাহব্যাপী অভিযানে’ ২৮০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা ডেলিভারি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে লন্ডনের হিলিংডন, স্কটল্যান্ডের ডামফ্রিজ ও বার্মিংহামের মতো এলাকায় গ্রেফতার হন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮৯ জনকে এরই মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আটক রাখা হয়েছে এবং আরও ৫৩ জনের আশ্রয় সহায়তা পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে—যা বন্ধ বা প্রত্যাহারও হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযানকে দেশব্যাপী তীব্রতর অভিযান সপ্তাহ হিসেবে বর্ণনা করেছে। অবৈধ শ্রমবাজার, বিশেষ করে গিগ ইকোনমি ও খাবার সরবরাহকারী (ডেলিভারি রাইডার) হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়েছে। গিগ ইকোনমিতে সাধারণত স্বল্পমেয়াদী বা একক কাজের ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিমগুলো অতিরিক্ত ৫ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়ন পাচ্ছে, যা পূর্বে ঘোষিত ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বর্ডার সিকিউরিটি বাজেটের অংশ। আগামী মাসগুলোতে এসব অঞ্চলে অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ডেলিভারো, উবার ইটস ও জাস্ট ইট—এই তিনটি বড় ডেলিভারি কোম্পানি জানিয়েছে, তারা চেহারা শনাক্তকরণ এবং জালিয়াতি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা আরও কঠোর করবে, যাতে কেউ বেআইনিভাবে রাইডার হিসেবে কাজ করতে না পারে।
সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ইগল বলেন, অবৈধভাবে কাজ করা আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেয়, আর আমরা এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্যজুড়ে আমাদের অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে কেউ যেন মনে না করে যে তারা অভিবাসন বা শ্রম আইনকে ফাঁকি দিতে পারবে।
এদিকে, গাড়ি ধোয়ার ব্যবসা ও রেস্টুরেন্টসহ ৫১টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় যে তারা অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ করেছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট পরিচালক এডি মন্টগোমারি বলেন, যারা মনে করে তারা অবৈধভাবে কাজ করে পার পেয়ে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে দিনরাত অভিযান চলছে।