ক্রিকেটে বাইশগজের আলোচনার কেন্দ্রে সাধারণত ক্রিকেটাররাই থাকেন। তবে এই সাফল্যের নেপথ্যে জড়িয়ে আছেন আরও অনেকে, বিশেষ করে দলের কোচিং স্টাফরা। মাঠে দলের পারফরম্যান্স যেমন নজর কাড়ে, তেমনি আলোচনায় উঠে আসে কোচদের পারিশ্রমিকও। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় দলের কোচদের বেতন কাঠামো জানলে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ কোচ ফিল সিমন্স। বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি প্রতি মাসে পাচ্ছেন প্রায় ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অভিজ্ঞ এই কোচের অধীনেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নতুন কৌশল ও পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। তবে তার চুক্তি মাসিক নয়, দৈনিক ভিত্তিক। বিসিবি তাকে প্রতিদিনের জন্য দিচ্ছে ৮৬ হাজার ১০০ টাকা। সাধারণত সিরিজ বা নির্দিষ্ট ক্যাম্প চলাকালীন সময়েই তাকে দলে যুক্ত করা হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে অত্যন্ত পরিচিত নাম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে তিনি সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুরুতে তার চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, তবে তা বাড়িয়ে ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার মাসিক বেতনও বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। বিদেশি কোচদের তুলনায় এটি কম হলেও স্থানীয় কোচদের ক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের বর্তমান পেস বোলিং ইউনিট বেশ শক্তিশালী। তরুণ পেসারদের গতি ও স্কিল বাড়াতে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিতারকা শেন টেইট। তার মাসিক বেতন ১৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। এছাড়া দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন জেমস পেমেন্ট। তার মাসিক বেতন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। তিনি দলের ফিল্ডিং স্কিল উন্নয়নে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।