ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দলিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা হচ্ছে আজ মঙ্গলবার।
আজ ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট। এক বছর আগে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদের। এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। জুলাই থেকে একটানা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সাফল্যের এই দিনটি, ৩৬ জুলাই হিসেবে আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
আজ বিকেল ৫.০০ টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলায়ের ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এরিমধ্যে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যে কোনো সময়ে জুলাই সনদে সই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের শরিক রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলো প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকবে। গত রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণা পত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আজ বন্ধ আছে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, শিল্প-কারখানা। আজ সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ মিছিল বের করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অন্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে- সকাল ১১টায় ‘টং’ এর গান, ১১টা ২০ মিনিটে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী, ১১টা ৪০ মিনিটে কলরব শিল্পী গোষ্ঠী, ১২টা পাঁচ মিনিটে নাহিদ, সাড়ে ১২টায় তাশফির সংগীত পরিবেশন করবেন। দুপুর একটায় নামাজের বিরতির পর একে একে পারফর্ম করবেন চিটাগাং হিপহপ হুড, সেজান এবং শূন্য ব্যান্ড। সারাদেশে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে করা হবে পুষ্প স্তবক অর্পণ। প্রতিটি ধর্মীয় উপসনালয়ে হবে মোনাজাত ও প্রার্থনা।
এরপর দুপুর দুইটা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপন করা হবে। ‘পলায়ন ক্ষণ’ উদযাপনের পর আবারও শুরু হবে কনসার্ট। একে একে পারফর্ম করবেন সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস এবং ওয়ারফেজ। এরপর আসরের নামাজের বিরতি চলবে।
বিরতির পর বিকাল পাঁচটায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে। এসময় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সবার অংশগ্রহণে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।