রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের কামচাটকার ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি হঠাৎ করে ছয় কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ছাইয়ের কুণ্ডুলী ছুড়ে দেয়।
রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের কামচাটকা অঞ্চলে ৫০০ বছরের বেশি সময় পর আবারও অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অগ্নুৎপাতের সঙ্গে গত সপ্তাহের শক্তিশালী ভূমিকম্পের যোগসূত্র থাকতে পারে। খবর বিবিসি’র।
কামচাটকার ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি হঠাৎ করে ছয় কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ছাইয়ের কুণ্ডুলী ছুড়ে দেয়। রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ অগ্ন্যুৎপাত আশপাশের জনবসতির জন্য কোনো হুমকি নয়।
অগ্ন্যুৎপাতের কয়েক ঘণ্টা পর কামচাটকায় আবারও বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প হয়, যার ফলে উপদ্বীপের তিনটি এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
রুশ বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, বুধবারের ভূমিকম্পের পর কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হতে পারে। এটি ইতিহাসে রেকর্ড করা অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হয়েছিল।
রোববার কামচাটকা উপদ্বীপ সংলগ্ন কুরিল দ্বীপপুঞ্জে ৭.০ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১৮ সেন্টিমিটার (প্রায় ৭ ইঞ্চি) উচ্চতার ঢেউ উঠতে পারে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢেউয়ের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম হলেও কামচাটকার তিনটি এলাকায় বাসিন্দাদের ‘উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে হবে’।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএকে দেওয়া বক্তব্যে কামচাটকা ভলকানিক ইরাপশন রেসপন্স টিমের (আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত পর্যবেক্ষণ দল) প্রধান ওলগা গিরিনা জানিয়েছেন, কুরিল দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরির শেষ অগ্ন্যুৎপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫শ শতকে। তিনি আরও জানান, এই অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে ৮.৮ মাত্রার আগের ভূমিকম্পের সম্পর্ক থাকতে পারে।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কামচাটকা উপদ্বীপ এলাকা খুবই দুর্গম, তবে এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূমিকম্পবলয়ের (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) অংশ। সেখানে বিপুল সংখ্যক ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে।