তিস্তা নদীর পানি আগামী দুই দিনে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে স্থিতিশীল থাকতে পারে পরদিন। এছাড়া আগামী দুই দিন তিস্তা নদীর পানি সমতলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং গাইবান্ধা জেলার তিস্তাসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, ভুগাই, কংস, লুবাছড়া, ঝালুখালি নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময়ে উক্ত নদীসমূহের পানি সমতলে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, তিস্তা নদীর পানি আগামী দুই দিনে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি সতর্কসীমা ছুঁতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গাইবান্ধার কিছু এলাকাও সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
তিনি বলেন, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, কংস, লুবাছড়া ও ঝালুখালি নদীর পানি বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়তে পারে। সিলেটের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদের পানি আগামী দুই দিনে বাড়বে, যদিও এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতেও পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের মহানন্দা, করতোয়া, ঘাঘট, আপার আত্রাই ও পুনর্ভবা নদীর পানি বাড়তে পারে।