ব্রাজিল থেকে আমদানি করা কফিসহ কিছু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এ শুল্কের প্রভাবে ব্রাজিলীয় কফির রফতানি গন্তব্য বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় কফি আমদানিকারক দেশ। বছরে দেশটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি আমদানি করে, যার এক-তৃতীয়াংশই আসে ব্রাজিল থেকে। শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৮০ লাখ ব্যাগ ব্রাজিলীয় কফি সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে গন্তব্য পরিবর্তন করে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় বেশি পরিমাণে কফি রফতানি করবে ব্রাজিল।
চীনে গত কয়েক বছরে কফি পানের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। দেশটির তরুণ পেশাজীবীদের মধ্যে চা থেকে কফির দিকে ঝোঁক বাড়ায় পাঁচ বছরে মাথাপিছু কফি পানের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। ব্রাজিল এরই মধ্যে চীনের প্রধান কফি সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। ২০২৫ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশটি চীনে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ব্যাগ কফি রফতানি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক এড়াতে কিছু রফতানিকারক মেক্সিকো বা পানামার মতো দেশ হয়ে কফি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে পারে। এতে পণ্য পরিবহন খরচ কিছুটা বাড়লেও শুল্কের প্রভাব কমে প্রায় ১০-১৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কফি প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ব্রাজিল থেকে কফি দ্রুত আমদানি করছে। শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঠানো পণ্য ৬ অক্টোবর পর্যন্ত শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা যাবে।
খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প উৎস হিসেবে মধ্য আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোয় ঝুঁকবে। তবে এতে দেশটির আমদানিকারকদের জন্য কফির ব্যয় আরো বাড়তে পারে।