যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে পোশাকশিল্পের মালিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন। গত দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার স্থগিত রাখায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বৃদ্ধি পায়। শেষ পর্যন্ত শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যেটা আপাতত স্বস্তিদায়ক বললেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
তিনি বলেন, ২০ শতাংশ শুল্ক আপাতত স্বস্তিদায়ক এজন্য যে, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ট্যারিফ সমান। ভারতের তুলনায় আমাদের ট্যারিফ কম, পাকিস্তানের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। ভিয়েতনামের সমান, এটি বড় স্বস্তির জায়গা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনামই বাংলাদেশের বড় প্রতিযোগী। যদি ট্যারিফ অন্যদের চেয়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি হতো, তাহলে আমরা প্রতিযোগী সক্ষমতায় থাকতে পারতাম না। তখন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারত।
আপাতত স্বস্তিদায়ক বলার কারণ ব্যাখ্যা করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, পৃথিবীর সব দেশের পণ্যের শুল্কহার বাড়ানো হলে সেটি ভোক্তার ওপর বর্তায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। দেশগুলোর ওপর গড়ে ২০ শতাংশ বাড়ানোয় স্বভাবতই পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। তখন বাজার কী প্রতিক্রিয়া দেখায়, এর ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের অবস্থান। যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা ক্রয় কমিয়ে ফেলেন, তবে চাহিদা কমে যাবে। তখন পণ্য রপ্তানিতেও এর প্রভাব পড়বে। তবে এ বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন শুল্কহার চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা স্থগিত করে রাখা অর্ডারগুলো নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের পোশাক খাতের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ওপর। অতিরিক্ত ২০ শতাংশ ট্যারিফের কারণে পোশাক যদি ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন ভোগ কমে যাবে। দিনশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তার প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটার জন্য তো আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।