বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ মনে করেন, ২০ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা হয়তো ধরে রাখবে; কিন্তু এ বর্ধিত শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চাহিদা কমে যাবে। তখন বাংলাদেশের গার্মেন্ট মালিকদের মধ্যে টিকে থাকার অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ২০ শতাংশ শুল্কের কারণে বাংলাদেশে প্রতিযোগী সক্ষমতা টিকে থাকবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা যাবে। কিন্তু এই বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের চাহিদা কমে যাবে প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের তথ্য। এ কারণে আগামী এক-দেড় বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এক্সপোর্ট কমবে। রপ্তানি কমলে বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ড বাংলাদেশকে পণ্যের দাম কমাতে চাপ দেবে। তখন বাংলাদেশি উৎপাদকদের মধ্যেই অসম প্রতিযোগিতা দেখা দেবে। সরকারের উচিত হবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কাজ করে, তাদের কীভাবে ফিন্যান্সিয়ালি একটু সাপোর্ট দেওয়া যায়, সেটা খুঁজে বের করা।
উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে সহায়তা করা সম্ভব হলেও সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না-এমন মন্তব্য করে পারভেজ বলেন, দেশে উৎপাদন খরচ কমানোর সম্ভাবনা নেই। কেউ এ বিষয় নিয়ে চিন্তাও করে না। উদাহরণস্বরূপ, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই পোর্ট চার্জ বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার কনটেইনার জট কমাতে পোর্টে ১৫ শতাংশ কম জাহাজ আনার কথা শুনছি। এ কারণে জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাবে। এটা (পোর্ট চার্জ) কমালে আমরা অন্য দেশের তুলনায় উপকৃত হব, এটি কেউ ভাবছে না। মূল্যস্ফীতি কমানোর চিন্তা করে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ানো হলো, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খরচ ৩ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হলো-এসব নিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে বর্তমান সরকারকেও চিন্তা করতে দেখছি না।