বর্ষা মৌসুমে প্রথম ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখলো চট্টগ্রামের মানুষ।সক্রিয় মৌসুমে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের নিচু এলাকা। যেখানে সড়কগুলো পরিণত হয়েছে নদীতে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। একই সময়ে টাইগারপাসের আমবাগানে বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার।
ডুবেছে তিন পোল, দামপাড়া, জিইসি, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ, মোহরা, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা।
সকাল ৭টার পর শুরু হওয়া অঝোর ধারার বৃষ্টি ঝড়ে একটানা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এ সময় নগরের মেহেদীবাগ, জিইসি, চকবাজার, মুরাদপুর, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, সিরাজদৌল্লাহ রোড, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, কাতালগঞ্জ, নয়াবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার তিনপুল, জামাল খান, প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে পরিবহন সংকট দেখা দেয়। এই সুযোগে রিকশা ও সিএনজি চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই রওনা দেন। আবার অনেকে মাঝপথে গাড়ি পেয়ে দেরিতে পৌঁছান পরীক্ষা কেন্দ্রে। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে গাড়ি ভাড়ায় বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে।এদিকে সকাল থেকেই জলাবদ্ধতার চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে হতাশা, আবার কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
নগরবাসী আশঙ্কা করছেন, টানা বৃষ্টি ও জোয়ার একসঙ্গে চলতে থাকলে জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। একইসাথে পাহাড়ধসের শঙ্কাও রয়েছে।