চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক সি ডি এ আবাসিক মাঠে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। ব্যতিক্রমী এবারের এ হাটের মূল আকর্ষণ মরুভূমির উট। এর আগে,২০২২ সালে গোলাপি মহিষ ছিল এ হাটের মূল আকর্ষণ। সেই চমককে ছাপিয়ে গেছে এবারের উটের উপস্থিতি। হাটে উট দেখতে ভিড় করছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
উট ব্যাবসায়ি আলী আকবর বলেন, যশোরের বেনাপোলের ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্ম থেকে আনা হয়েছে এ চারটি উট। এরই মধ্যে ২৭ লক্ষ টাকায় একটি উট বিক্রি হয়েছে । চট্টগ্রামে উটের চাহিদা আছে অনেক। আমার উট দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছে । আসলে চট্টগ্রামবাসী আমাকে যথেষ্ট উপহার দেয় তাই ক্রেতার অনুরোধ রাখতে এমন ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ। এ উট মুলত শিশুদের জন্য আনা। চট্টগ্রামের মানুষকে বিশেষ করে ছোট শিশুরা যেন দেখে আনন্দিত হয় মুরুব্বিরা তো সৌদি আরবে গেলে দেখতে পায়।
উটের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একটি উট বিক্রি হয়েছে ২৭ লক্ষ টাকায় এখানে তিনটি উট আছে। আরো তিনটি উট আসবে কয়েক দিনের মধ্যে। আমরা দামটা ২৫ থেকে ৩০ লাখ এর মধ্যে রেখেছি । তবে, এখানে উট বড় ছোট আছে এটা সাইজের উপর নির্ভর করছে।
এছাড়া,হাটে ছোট বড় বিভিন্ন জাতের গরু ও মহিষের দেখা মিলছে। গরুর জাত গুলোর মধ্যে রয়েছে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল,অ্যাঙ্গাস,সিন্ধি জাতের গরু । মহিষের মধ্যে গোলাপি রঙের মহিষেই ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ।
ক্রেতারা বলছেন, এই হাটে ছোট ও মাঝারি গরু গুলোর দাম নাগালের মধ্যেই আছে এখনো পর্যন্ত । তবে, কেউ কেউ দামটা একটু বেশি বলেও মন্তব্য করেছেন।
ব্যাপারীরা জানান, সাধারণত ঈদ উপলক্ষে ভারতের রাজস্থান, গুজরাটের মরুভূমি এলাকা এবং হরিয়ানা থেকে উট ও দুম্বা আমদানি করা হয়। কখনো কখনো পাকিস্তান থেকে উট আনা হয়। সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর হয়ে উটগুলো বাংলাদেশে আসে। রাজধানী ঢাকার বাজারে উটের দেখা মিললেও, চট্টগ্রামে তুলনামূলক কম।
উটের মাংস স্বাদে হালকা মিষ্টি ও নরম। বিশেষ করে কম বয়সী উটের মাংস বেশি সুস্বাদু। মাংসে চর্বির পরিমাণ থাকে কম।
এমইউএম/দৈঅ