চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সব বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি পাসের হার যশোর বোর্ডে। আর সবচেয়ে কম পাসের হার সিলেট বোর্ডে। তবে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ রয়েছে ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯২ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহীতে এবার পাস করেছে ৮৯.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৭.৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন। যশোরে পাসের হার ৯২.৩৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুরে পাসের হার ৭৮.৪৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
ময়মনসিংহে পাসের হার ৮৪.৯৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ১৭৬ জন। কুমিল্লায় পাস করেছে ৭৯.২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রামে পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ শিক্ষার্থী। সিলেটে পাসের হার ৭৩.৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন।
এ ছাড়া মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৬৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) ৮১.৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post