বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নতুন বাজারের দক্ষিণ পাশের ছরখানি বর নতুন বাড়ি এলাকার আহমদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী সন্তানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিষপান করে। সে ওই এলাকার মৃত কবির আহমদের পুত্র। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরলের সাগর চরে গিয়ে আহমদ হোসেন বিষপান করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম শহরের ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে এলাকায় এনে প্রশাসন ও পুলিশকে না জানিয়েই তড়িগড়ি করে দাফন করে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। আহমদ হোসেন ৩ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী সন্তানরা তাকে মারধর করেন। এতে সে ক্ষীপ্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন বলেন জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, স্ত্রী সন্তানদের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আহমদ হোসেন বিষপান করেন। বৃহস্পতিবার পারিবারিক বিষয়টি তাকে মারপিট করে স্ত্রী ও সন্তানরা।
স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাস্টার মোহাম্মদ আলমগীর জানান, বিষপানে আহমদ হোসেনের আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। তবে প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ দাফনের বিষয়টি আমি জানিনা। খবর নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করব।
পার্শ্ববর্তি মোহাম্মদ খান জানান, আহমদ হোসেন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি দুঃখে বিষপান করল জানিনা।
পোস্টমর্টেম ছাড়াই পুলিশকে না জানিয়েই লাশ দাফন করার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি উপর থেকে লাইন করে এসেছে। তাই তারা দাফন করে ফেলেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে মং নামে একজন এস আই কে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। এস আই মং দৈনিক অর্থনীতি’কে জানান বিষয়টি নিয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ না করায় সুরাতহাল না করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে। আহমদ হোসেনের লাশ দাফনের বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ বলেন আত্নহত্যার বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে পুনরায় লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে।
আহমদ হোসেনকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার ছেলে এবং স্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল তারা। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্নহত্যা করেন আহমদ হোসেন। বাবার মৃত্যুর বিষয়ে ছেলের কাছে জানতে চাইলে সঠিক কোন তথ্য দেন নি তিনি।