জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার উত্তপ্তের ঘটনার পর এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা শহরের মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার, ৫নং রোড , ব্লক-গ একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন।
নিহত শারভিন সুলতানা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সালদা থানা এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী আসিফ মোর্শেদ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করেছেন। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাসপুরের আবদুল মালেকের ছেলে।
নিহতের স্বামী আসিফ মোর্শেদ জানান, গতকাল বিকেল ৪টার সময় মীমের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পায়। সেহেরির সময় কল করলেও ফোনে পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৪টায় তিনি ঢাকা থেকে রওনা হন। বাসায় এসে বাড়িওয়ালাকে সাথে নিয়ে ফ্ল্যাটে গেলে দরজা বন্ধ দেখেন। এরপর পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসে।
বাড়ির মালিক মেরিনা ইসলাম জানান, দুই মাস আগে মীম ও তার স্বামী বাসাটি ভাড়া নেন। তবে তারা সেখানে সব সময় থাকতেন না। তার স্বামী গত রাতে বাসায় ছিলেন না, ঢাকায় ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে এলে একসঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কাধাক্কির পরও না খুললে সবার সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে এসে দরজা ভাঙলে মীমকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ৪০৯ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী মীম। বিয়ের পর থেকে তিনি কখনো হলে থাকতেন কখনো স্বামীর সাথে মনসুরাবাদে থাকতেন। বিয়ের পর কারও সঙ্গে তেমন কিছু শেয়ার করতেন না। হঠাৎ করে এই ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন। এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু প্রশাসনকে সেটি তদন্ত করে বের করার অনুরোধ জানান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আজ বেলা ১১টায় খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তখন দেখি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে। এরপর দরজা ভাঙলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওড়না কেটে মরদেহ নামানো হয়। এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। কেন আত্মহত্যা করল এই বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। আমরা তার পরিবারকে খবর দিয়েছি, তার পরিবার আসলে আমরা আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
দৈনিক অর্থনীতি
Discussion about this post