এক কিশোরী বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে রেললাইনে গিয়ে বসে ছিল। হঠাৎ ট্রেন আসতে দেখে রেললাইনে শুয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তার শরীরের ওপর দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার পর দেখা যায়,অক্ষত রয়েছে ওই কিশোরী। ভাগ্যক্রমে তার কিছুই হয়নি। এরপর আশেপাশের লোকজন দৌঁড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশিনগর রেলক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা যায়, আত্মহত্যা করার জন্যই ওই কিশোরী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে রেললাইনে শুয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়া কিশোরীর নাম হালিমা (১৪)। সে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামের গাব-গাছতলা এলাকার হালিম মিয়ার মেয়ে।
আশেপাশের লোকজন থেকে জানা যায়, ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৫টায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে, ঐ সময় মেয়েটি রেললাইনেই বসে ছিল।
ট্রেনটি ২০গজ দূরে থাকার সময় মেয়েটি বসা অবস্থা থেকে উঠে হঠাৎ করেই রেললাইনে লম্বালম্বিভাবে শুয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ট্রেনটি তার ওপর দিয়ে চলে যায়।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর সবাই এগিয়ে এসে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এতে তার শরীরের কিছু স্থানে ছিঁড়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার হাত ও পায়ের কয়েক জায়গায় আহত হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, “নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্যই ওই কিশোরী শুয়ে পড়ে। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে। রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।”
ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক অর্থনীতি