বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন – বাপসা ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ৪টায় ফেনী জেলা সদরে নদী দূষণ, জলবায়ু দূষণ, গাড়ির কালো ধোঁয়া, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ রোধকল্পে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাপসা ফেনী জেলা শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিন লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান তারেকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপসা’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা জনাব জালাল উদ্দিন মজুমদার ও প্রধান বক্তা ছিলেন বাপসা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব এম. এ. হাশেম রাজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপসা’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা জনাব জিয়া উদ্দিন আহমেদ মিষ্টার। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক উত্তম কুমার আচার্য্য। শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া। শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জনাব মো: ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য গাজী আবু বকর, বাপসা’র চট্টগ্রাম মহানগর নেতা নুরুল আবসার তৌহিদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বাপসা নেতা সুজন পাশা, কুমিল্লা জেলা বাপসা নেতা তারিক চৌধুরী, ফেনী জেলা বাপসা সহ সভাপতি কাজী জসিম উদ্দিন, এডভোকেট ইমাম উদ্দিন, সাংবাদিক নুর তানজিলা রহমান, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, মনিরুল আহসান বাটুল, বদরুল মামুন, বেলাল মজুমদার, আবদুল কাদের জিলানী, আলেক উল্লাহ ভেন্ডর, সাইফুর রহমান সাইফুর, মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথি বাপসা’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিচালক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মজুমদার তার বক্তব্য বলেন, দেশের অধিকাংশ বড় ছোট নদী ও জলাশয় দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত। পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে দিনে দিনে সুপেয় পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। নদী মরে যাওয়ায় কৃষি কাজ ও প্রাণী বাস্তুসংস্থানে ভারসাম্য ধ্বংস করছে। পলিথিন ব্যাগের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে মাটি দূষণ ও নদীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় পরিবেশের বিপর্যয় বিপুল সংখ্যক জনসাধারণের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাপসা চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক নুরুল আবছার তৌহিদ বলেন, আজ ইট ভাটা, বায়ু দূষণ, কালো ধোঁয়ায় বাংলাদেশের মানচিত্রের সকল প্রাণীর জীবন ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলছে। দেশের অধিকাংশ পাহাড়ের গাছপালা উজাড় করে ফেলেছে। এতে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। সভায় প্রধান বক্তা জনাব এম হাশেম রাজু বলেন, ঢাকায় বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ এখন বিশ্বের ১১১ টি সিটির মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে মানুষ শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের নানা রোগে ভুগে মৃত্যুবরন করছে। শ্রবণেন্দ্রিয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের গাফিলতি ও সীমাবদ্ধতার কারনে এবং পরিবেশ সংগঠনগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেয়ার কারনে বাংলাদেশ জুড়ে চলছে পরিবেশ ধ্বংসের মহোৎসব। চট্টগ্রামে উৎসব করে পাহাড় কাটা ও দখল চলছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীসহ ফেনীর নদী খালগুলো দখলে দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেনী শহর এখন ধুলায় আচ্ছন্ন। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। এর দ্রুত পরিবর্তন দরকার। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর, ফেনী পৌরসভাকে স্মারকলিপি প্রদানসহ স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসায় পরিবেশ সুরক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ফেণী জেলা কমিটিকে তৎপর হবার নির্দেশনা দেয়া হয়।