রপ্তানিমুখী পণ্য লোপাট চক্র দিনেদিনে কৌশল পাল্টিয়ে এখন চোখ দিয়েছেন সরাসরি গার্মেন্টসের ওয়্যারহাউসে। রপ্তানিমুখী পণ্য চুরির অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে কিছুদিন আগে পিবিআই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় পরিবহন ব্যবসার আড়ালে পণ্য চোর চক্রের বেশকিছু সদস্য।
পটিয়ার বাসিন্দা আহমদ সফার পুত্র নুরউদ্দিন কাভার্ড ভ্যান ব্যবসার আড়ালে বন্দর কেন্দ্রিক রপ্তানিমুখী পণ্য লোপাট করে গত ২ বছরে বনে যায় কোটিপতি। বর্তমানে তার রয়েছে ৫/৬ টি কাভার্ড ভ্যান, পটিয়ায় চলছে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণের কাজ। দৃশ্যমান এতো আয়ের কোনো পথ না থাকা সত্বেও রপ্তানি পণ্য চোরচক্রের সাথে হাত মিলিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় নুর উদ্দিনের। অনুসন্ধানে জানা যায় বন্দর কেন্দ্রিক পণ্য লোপাট চক্রের সাথে জড়িত নুর উদ্দিন, মহিউদ্দিন দুই সহোদর। তাদের কাভার্ড ভ্যান থেকে কিছুদিন আগেও অক্সিজেন তামান্না গার্মেন্টস সংলগ্ন স্থানে, কাস্টমস ওভারব্রিজের নীচের সড়কে চোরাই পণ্য নামিয়ে পিকআপে উঠানো হয় বলে জানান একজন গাড়ি চালক।
তাদের চুরি করা কাপড় কেনার জন্য টাকা বিনিয়োগ করে তিনজন, আরিফুর, মুজিবুল ও নগরীর অক্সিজেন এলাকার এক ব্যক্তি।
মূলত তিনটি ধাপে তারা কাজ করে থাকে। একটি পক্ষ সরাসরি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকে, পরবর্তী ধাপে থাকে ব্রোকার চক্র। এই ব্রোকাররা ক্রেতা খোঁজে। আর চোরাই মাল জানা সত্ত্বেও মালগুলো কিনে বাজারে বিক্রি করে আসছেন টেরিবাজার ও রেয়াজউদ্দীন বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোর্ট কলোনী এলাকার এক বাসিন্দা জানান, নূরউদ্দিন মূলত কাভার্ডভ্যান ব্যবসার আড়ালে পণ্য চোর চক্রের সাথে তার আপন মহিউদ্দিন সহ লিপ্ত হয়ে গত ২ বছরে বনে যায় কোটিপতি। সালমা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানায় খোঁজ নিতে গিয়ে মিলেছে অন্য তথ্য। কদমতলী এলাকার এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জানান, নুরুদ্দীনের এই ঠিকানায় কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব না থাকলেও বর্তমানে পোর্ট কলোনী এলাকায় তার কাভার্ড ভ্যান গুলো রাখা হয়। সেখান থেকেই তার কার্যক্রম চলে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে নুর উদ্দিন কে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
Discussion about this post