সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় ও অবহেলিত শিশুদের সাথে ফুল উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান। এতিম শিশুদের নিয়ে ফুল বাগানে আজকের দিনটি কাটিয়েছেন জেলা প্রশাসক। নাগরদোলা, নৌকায় চড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সময়টা কাটিয়েছে প্রচলিত সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু।
আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে জেলা প্রশাসনের গড়ে তোলা ফুল বাগানে এসব শিশুকে নিয়ে যান ডিসি। দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করা সরকারি জমিতে বিশেষভাবে গড়ে তোলা এই বাগানে এক সপ্তাহ আগে ‘ফুল উৎসব’ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার, বেসরকারি সংগঠন ‘উপলদ্ধি’ ও সীতাকুণ্ড প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বাগান। শিশুরা ঘুরে ঘুরে সকল ফুলের নাম শিখেন।
চট্টগ্রাম সরকারি শিশু পরিবারের শিক্ষক রুমা পারভীন বলেন, এটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এক মহৎ উদ্যোগ। এত বিশাল জায়গা জুড়ে শুধু ফুলের বাগান চট্টগ্রামের অন্য কোথাও নেই। আমরা চাই যেন মাঝে মাঝে আমাদের এসকল এতিম বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসতে পারি। এরকম একটি পার্ক শিশুদের মানসিক বিকাশে দারুণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ফুল উৎসবে ডিসি স্যার সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদেরকে নিয়ে ঘুরে আনন্দ দেন এবং তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জানার চেষ্টা করেন। এটি স্যারের একটি ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয় আয়োজন।
এই ব্যতিক্রমধর্মী মহতী উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মাতাপিতা হীন ও অসহায় এসব শিশুরা কিন্তু আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের বাদ দিয়ে কোনোভাবেই সামষ্টিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এসব শিশুদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আমরা অবশ্যই শিশুবান্ধব ও প্রতিবন্ধীবান্ধব পার্ক হিসেবে এই ডিসি পার্ককে গড়ে তুলব এবং তারা যেন প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এখানে আসতে পারে, খেলাধুলা করতে পারে সে ব্যবস্থা করব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রতিক দত্ত উপস্থিত ছিলেন।