সম্প্রতি পটিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নে বেপরোয়া মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং চক্র। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। নিজেদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অবৈধ ব্যবসা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতেই মূলত অপরাধ জগতে ব্যবহার করা হয় কিশোরদের। বেপরোয়া এসব কিশোর গ্যাং চক্রের শেল্টারদাতা হিসেবে তালিকায় রয়েছেন কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কাগজপত্রবিহীন ৫০টি মোটরসাইকেল আটক করে মামলা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার পটিয়া থানা পুলিশ গুরত্বপূর্ণ ৫টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পটিয়া থানায় অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং সভায় সকল বক্তার বক্তব্যে পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতার বিষয়টি সামনে আসে। ওই সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ রবিবার থেকে কাগজপত্রবিহীন সকল মোটরসাইকেল আটকের নির্দেশনা দেন।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং রুখতে আমরা ২ দিনে ৫০টি মোটরসাইকেল আটক করে মামলা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যারা অলিতে গলিতে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে থাকে তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। যারা এসব কিশোর গ্যাং-কে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছে তাদেরকেও নজরে আনা হচ্ছে। শেল্টারদাতারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।