কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করা গেলে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বন্দীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে মুক্ত হওয়ার পর কারাবন্দীদের কর্মজীবন ও সমাজে পুনর্বাসিত হতে সহায়ক হবে। এর ফলশ্রুতিতে পুনঃঅপরাধ প্রবণতার হার হ্রাস করা সম্ভব হবে। নানান উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরের ও বাইরের চিত্র। বন্দীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে গৃহীত হয়েছে কারাভ্যন্তরে ও বাইরে বেশকিছু উদ্যোগ। এসব কর্ম পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়ে গেলে বন্দীদের দুর্ভোগ ও দুর্দশা আরও লাঘব হবে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ এমরান হোসেন মিঞা বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বেশকিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সকলে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সদ্য বের হওয়া জামাল হোসেন নামের একজন বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরের চিত্র আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ভেতরের পরিবেশ আরও উন্নত করা গেলে বন্দীদের কষ্ট কমবে। জানা যায়, চট্টগ্রাম কারাগারের বন্দীদের দুর্ভোগ ও কষ্ট লাঘবে উন্নয়নমূলক কিছুকাজ হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা যাতে নির্ঝঞ্জাট ভাবে প্রয়োজনীয় আলাপ সারতে পারে, বন্দীদের পিসি ডেক্সে যাতে সহজেই তাদের কাছে টাকা পাঠাতে পারেন আপনজনেরা। বন্দীদের ক্যান্টিনও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বাইরের সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে খাবারের দাম। সব খাবারের মূল্য তালিকাও ঝোলানো রয়েছে কারা ক্যান্টিনে। ফলে ন্যায্য মূল্যে খাবার কিনতে পারেন সাধারন বন্দীরাও।