নগরীর রৌফাবাদ এলাকা থেকে বন্ধুর মোটরসাইকেল জিম্মি করে চাঁদা দাবির ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পাঁচলাইশ থানাধীন মান্নান বেকারী গলির আক্তার হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ সিয়াম (২৩) ও তার সহযোগী জয়নাল। জানা যায়, আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধেও ভূমিদস্যুতার অভিযোগ উঠে বিভিন্ন সময়।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাটহাজারীর রউফাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর Yamaha R15 V3 নামের ৫ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি পাঁচলাইশের আতুরার ডিপোর খাবার মেলা দোকানের সামনে থেকে ইমতিয়াজ সিয়াম ও মোস্তাকিম জুবায়ের শিহাব তাদের বন্ধু আরিফুল ইসলাম সৈকতের কাছ থেকে তার ইয়ামাহা R15 V3 মোটরসাইকেলটি ১ ঘন্টার জন্য চালানোর কথা বলে নিয়ে যায়। একঘন্টা পরও তারা ফিরে না আসায় সৈকত ফোন করলে তারা মোটরসাইকেলটি ফেরত নিতে হলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি শিহাব সৈকতকে পাঁচলাইশ বিবিরহাটের আজাদ কমিউনিটি সেন্টারে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক বেঁধে রাখে কয়েকজন।
গতকাল রাতে সিয়াম ও শিহাবকে চাঁদা পরিশোধ করে মোটরসাইকেল আনার কথা বললে সৈকত রাত বারোটায় রউফাবাদ এলাকায় যান। এসময় সেখানে হাতেনাতে সিয়াম ও জয়নাল নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ২জন- নুরুল বশর বিপলু ও মোস্তাকিম জুবায়ের শিহাব পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে আরিফুল ইসলাম সৈকত জানান, আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ইমতিয়াজ সিয়াম, শিহাব, নুরুল বশর বিপলুসহ কয়েকজন মিলে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে এবং ফেরত পেতে হলে চাঁদা দাবি করে।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আমিন বলেন, মোটরসাইকেল আটকে রেখে টাকা দাবি করার অভিযোগে ২ জনকে মোটরসাইকেল সহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও ২ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ধরতেও অভিযান চলছে।
