চান্দগাঁও আবাসিকে ভবনের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে গিয়ে ডেভলপার কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হলেন জমির মালিকের ছেলে।
জমির মালিক মৃত রাজা মিয়ার ছেলে শেখ মো. মিঠু প্রকাশ মোকাদ্দেস (২৬)। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ নং ওয়ার্ডের চক্ষু বিভাগে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এএনএফএল এর প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। মিঠুর বোন বাদী হয়ে একটি এবং অপর পক্ষে আহসানুল করিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরা মামলা দুটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার বিবরণে আহত মিঠুর বড় ভাই মোশাররফ জানান, “২০১০ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার আব্বার চুক্তি হয়েছিল যে, ২০১৬ সালের মধ্যে ভবনটি তার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করবে এবং আমাদের পাওনা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও করতে পারেননি। এরপর আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেওয়া হলেও তারা ব্যর্থ হন। শুধু তা–ই নয় আজ তের বছর হতে চললেও আমাদের পাওনা তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। একাধিকবার বৈঠকেও এর সমাধান হয়নি। অতপর লিগ্যাল নোটিশ দিলেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয় যে, একজন প্রকৌশলী নিয়ে গিয়ে একটি প্ল্যান করাতে এবং সেই অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। আমরা তা–ও করেছি। সমাধান আসেনি। এর মধ্যে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মোস্তাফিজ সাহেব নিয়ে আসেন আহসানুল করিমকে। তিনি এসে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিতে থাকেন। কখনো অপহরণ মামলা দেন, কখনো আমাদের সৎ বোনকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন। আমরা জেল খেটেছি।”
তিনি আরও জানান, তিনি নিজেও তিন মাস জেল খেটে কিছুদিন আগে বের হয়েছেন। ৩১ জানুয়ারি সকালে জমির মালিক রাজা মিয়ার পুত্র মোকাদ্দেস মিঠু আলোচনা করতে গেলে আহসানুল করিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মিঠুকে এলোপাথারি মারধর করে আহত করে। ঘটনার বিষয়ে জানতে আহসানুল করিমকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভূমি মালিকপক্ষ হতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়।