লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমানের (৭০) মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারামারা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উফারমারা বায়তুল আমান টিনশেডের মসজিদে জায়গা সংকুলানে ঈদের এবং জানাজার নামাজ পড়াতে সমস্যা হয়। তাই নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটি গঠনের পর একাধিকবার সভার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে প্রাথমিকভাবে বেজ ঢালাইয়ের জন্য খাল খননসহ অন্য কাজ করছিলেন নির্মাণ শ্রমিকরা। এ সময় পুরাতন মসজিদের জমিদাতা হামিদুল ইসলাম (৫৫), ফরিদুল ইসলাম (৩৩) ও জাহিদুল ইসলাম (৩০) কাজে বাধা দেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি অলিয়ার রহমান তার ছেলে আবু আলম ও শাহালমসহ অন্যান্য মুসল্লিরা বাধার কারণ জানতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয়। হামিদুল ইসলাম লোহার তৈরি লাঙল দিয়ে অলিয়ারের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এ সময় অলিয়ারের ছেলে আবু আলম ও শাহালম এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করেন হামিদুল, তার ভাই ফরিদুল এবং জাহিদুল।
গুরুত্বর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা অলিয়ার ও তার ছেলে আলমকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
উফারমারা বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, মসজিদ পূর্ণনির্মাণ ও সরিয়ে নেওয়ার আলোচনায় এবং সিদ্ধান্তে সকল জামায়াতবাসীর পাশাপাশি হামিদুল এবং তার ভাইয়েরা সম্মত ছিল। তাঁরা তিনভাই টাকাও (অনুদান) দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পুরাতন মসজিদটি সরানোয় বাঁধা দিয়ে সভাপতিকে মেরে এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সপ্তাহ পর উনার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘এ ঘটনায় অলিয়ার রহমানের ছেলে শাহ আলম বাদি হয়ে ওই দিন থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত হামিদুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জু বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Discussion about this post