নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যান্সারে আক্রান্ত মনির আহমদ (৬৫)। মৃত বাবার পেনশনের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে লাশ ফেলে রেখেই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন সন্তানরা। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় মৃত্যুর প্রায় ৪০ ঘন্টা পর আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান গ্রামের দিঘীর পাড় এলাকায় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর সাথে গতকাল রোববার বিকেলে বাবার লাশ উঠানে ফেলে রেখে তার অবসরের পর পাওয়া ব্যাংক জমা ৫০ লক্ষ টাকা ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ৫ সন্তান দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। সেদিন তারা বাবার লাশ একটি ফ্রিজার অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে বিবাধে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পদ্মা অয়েল কোম্পানীতে চাকরি করতেন মনির আহমদ। ক্যান্সারে মৃত্যুর পর তার পেনশনের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ছেলে-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। ফলে প্রয়াত মনির আহমদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স এখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় দেখা দেয়।
মৃত মনিরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্যান্সারাক্রান্ত বাবার চিকিৎসার নাম করে মেজো বোন (বেবি আকতার) এবি ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু তিনি সেটি অস্বীকার করছেন। প্রবাসী ছোট ভাই (আলমগীর) দেশে এলে বাবার দাফন করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বেবি আকতার বলেন, বাবার অবসরের কোনো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করিনি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা তিন বোন মিলে বাবার চিকিৎসার খরচ বহন করেছি। ভাইয়েরা কোন সহযোগিতা করেনি।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। সামাজিকভাবে মীমাংসা না হওয়ায় তারা প্রবাসী ভাইয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। পরিশেষে মৃত ব্যক্তির জানাযা সম্পন্ন হয়েছে আজ সোমবার।
Discussion about this post