চট্টগ্রাম নগরীতে জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামায়াত-শিবিরের আরও ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন মজুমদার জানান, রোববার রাতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ১০ জন হলেন- আলী আজগর (৩১), মজিবুল হক জাবেদ (৩৩), আকতার হোসেন (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৫), লুৎফর রহমান ওরফে আলম (৪৬), তৌহিদুল ইসলাম (৪০), মো. বদরুদ্দোজা ওরফে ভূট্টু (৪২), মুজ্জাম্মিনুল হক ওরফে মোজাম্মেল (৩০), জসিম উদ্দিন (৩৮) ও হারুনুর রশিদ (৫৫)।
শনিবার সকালে মুরাদপুর রৌশন বোডিং এলাকায় হঠাৎই জামায়াত-শিবির যে মিছিল বের করে, সেখান থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি নাজিম উদ্দীন আরও জানান, হামলার ঘটনায় জামাতের আমির মাওলানা মো. শাহজাহানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে হাজার খানেক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।মিছিল শেষে মোহাম্মদপুরে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে ওঠার পথ বন্ধ করে সমাবেশ করে তারা।
জামায়াতে ইসলামীর এই মিছিল সমাবেশ বিষয়ে পুলিশ আগে থেকে কিছুই জানত না। প্রায় ৪০ মিনিট সড়ক বন্ধ থাকার পর পুলিশ সেখানে গেলে তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সড়কে সমবেত হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাংচুর, যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করিয়া ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
নগর জামায়াতের আমির ছাড়াও মামলায় নগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়েদ উল্লাহ ও মো. নজরুল ইসলাম, নগরের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, জামায়াত নেতা শামসুজ্জামান হেলালীকে আসামি করা হয়েছে।