অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছেন র্যাব সদস্যরা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর রুপাতলী সদর দপ্তর থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান র্যাব-৮ এর পরিচালক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্ৰামের মৃত গফুর মৃধার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৬৩)। তিনি সড়ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক। তার অবসরকালীন পেনশনের টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। সেই টাকা বিভিন্ন অজুহাতে দাবি করে আসছিলেন একই এলাকার নূরুল হকের ছেলে মো. সাকিব হোসেন শুভ (২২), নাসির মিস্ত্রীর ছেলে মো. নাহিদ হোসেন (২০) ও হাসেম হাওলাদারের কিশোরী (১৩) মেয়ে। পরে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় রফিকুল ইসলামকে জিম্মি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন অভিযুক্তরা। এরই জের ধরে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশের মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি বাগানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, অভিযুক্ত নাহিদ ও সাকিব ভিডিওর ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০০ টাকার ৩টি নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ১০ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে রফিকুলের স্বাক্ষর নেন এবং ১০ অক্টোবরের মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার দাবি জানান। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনকি তার ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। রফিকুল ভয়ে দুদফায় ৮ লাখ টাকা দেন। সে টাকা পেয়েও অভিযুক্তরা পুনরায় রফিকুলকে টাকার জন্য ফোন দিতে থাকেন। ১৪ ডিসেম্বর পটুয়াখালী র্যাব কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেন তিনি। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে নাহিদ ও কিশোরীকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে সাকিবকে একই দিন রাতে ঢাকা থেকে আটক করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন বলেন, আটকদের মোবাইলে এমন একাধিক ব্ল্যাকমেইলের ছবি ও তথ্য পাওয়া গেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।