গতকাল শনিবার র্যাব-৭, এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশী করে আসামী মোঃ ইলিয়াস , ইমরান হোসেন রাসেল ,মীর এরফানুল হক মারুফ , এবং গিয়াস উদ্দিনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে আটককৃত আসামী মোঃ ইলিয়াসের কাধে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ০১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহুত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে একটি সিএনজি যোগে বাঁশখালী হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছিল। এসময় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল । উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৩ কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।