অনেক বছর ধরে আর্জেন্টাইনদের ব্যর্থতার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভালো গোলরক্ষকের অভাব। বারবারই গোলরক্ষকদের সামান্য ভুলে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু আর্জেন্টিনা যেন এক বাজপাখিকে পেয়েছে। কোপা আমেরিকাতে যেই বাজপাখি মার্টিনেজের কল্যাণেই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
আবারও সেই মার্টিনেজ ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব হলেন, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতার বড় মঞ্চ ফাইনালিসিমায়। তার কল্যাণেই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল মেসিরা। সবশেষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়েও নিশ্চিতভাবেই পেছনের কারিগর হিসেবে সবার মুখে লিওনেল মেসির নামটিই উঠে আসবে।
তবে অনেকের মতে গতকালের ম্যাচে লাতিন আমেরিকার দলটির রক্ষাকারীর ভূমিকায় ছিলেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
১২০ মিনিট অতিক্রমের পর ৩-৩ গোলে সমতায় ছিল উভয় দলটি। নিয়মানুয়ী পরের ধাপে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। সেখানেই আর্জেন্টিনার হয়ে রক্ষাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। পেনাল্টি ঠেকিয়ে তিনিই আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর নতুন ইতিহাস রচনা করলেন। আর্জেন্টিনা পেল বিশ্বকাপের তৃতীয় মুকুট। সর্বশেষ দলটি জয়ের দেখা পায় ১৯৮৬ সালে।
গতকালের ম্যাচে টাইব্রেকারেও প্রথম শটে ১-১ গোলে সমতা আনেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি। পরে শটটি নেন ফ্রান্সের কিংসলে কোমঁ। তার পেনাল্টি ঠেকিয়েই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসেন এমিলিয়ানো।এরপর অরলিয়েন চুয়ামেনি শটটি মিস করায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এক পর্যায়ে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয়ের দেখা পায় লাতিন আমেরিকার দেশটি। আর এভাবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের মত ফাইনালেও আর্জেন্টিনার জয়ের শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
Discussion about this post