বাংলাদেশের বারোমাসি একটি কাঁঠালের জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচিত হওয়ায়, জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে নানা স্বাদের এবং বৈশিষ্ট্যের কাঁঠালের নতুন জাত উদ্ভাবন সম্ভব হবে, যা দেশে কাঁঠালের বাণিজ্যিক চাষাবাদ এবং প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইবিজিই), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি, ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, কানাডা এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা যৌথ গবেষণার মাধ্যমে কাঁঠালের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন। বিজ্ঞানী অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে গবেষণা প্রবন্ধটি বিজ্ঞান সাময়িকী ফ্রন্টিয়ারস ইন প্লান্ট সায়েন্সে প্রকাশ হয়েছে।
আইবিজিইতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত তেইলুমিনা সিকোয়েন্সিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করেছেন। কাঁঠালের জিনোম আকার ১.০৪ গিগাবেজ পেয়ারস। বায়োইনফরমেটিকস বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁঠালের জিনোমে ফলের বৈশিষ্ট্য এবং ১২ মাস ফল উৎপাদনকারী জিন ও ডিএনএ সিকোয়েন্সের স্বাতন্ত্র্য খুঁজে পেয়েছেন, যা কাঁঠালের জিনপ্রকৌশল বা মলিকুলার ব্রিডিংয়ে সহায়ক হবে।
গবেষক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো বারোমাসি কাঁঠালের একটি জাত বারি কাঁঠাল-৩-এর পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করেছি। এটি সেপ্টেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত মৌসুমি কাঁঠালের তুলনায় চার গুণ বেশি ফল দেয়। স্বাদ ও পুষ্টিমানও ভালো। গবেষণায় আমরা কাঁঠালের বিশাল বৈচিত্র্য এবং ১২ মাস ফল প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনগুলোকে শনাক্ত করেছি।
Discussion about this post