দেনদরবার নয়, কারও দয়ার দানে নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের পর নত মস্তকে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় মেনে নেয়। বস্তুত: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাহেন্দ্রক্ষণ একদিনে আসেনি। এর পেছনে রয়েছে এই জাতির রক্ত ঝরানো সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন আজ। ৫১ তম মহান বিজয় দিবসে শহীদদের স্মরণে মিউনিসিপ্যাল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা জাবেদুল আযম মাসুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, নুরুল আলম, নজরুল ইসলাম সুমন, সুজিত চৌধূরী, রেজোয়ানুল করিম রুমন, ফরহাদ ভূইয়া, মোজাম্মেল হক, এস এম সালাহ্উদ্দিন সামির, সত্যজিৎ ঘোষ মিঠু, শহিদুল আলম টিপু, খোরশেদ আলম, জিয়া, আবদুল্লাহ আল জাহেদ, সাদ্দাম হোসেন ইমতিয়াজ, রিগ্যান আলী সরদার রুমন, সাকিল আহমেদ, ফাহাদ ইসলাম অনিক, জমির উদ্দিন, আল নাঈম, মামুন, নাছির উদ্দিন, আল নোমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের বিজয় দিবসের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাবেদুল আযম মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেছি। স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে, ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানেই আমাদের নতুন অস্তিত্ব ৫৫ হাজার বর্গমাইল জুড়েই তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান। এবারের বিজয়ের শপথ হোক আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী দেশদ্রোহী বিএনপি জামাত কে বয়কট করে এদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কে পূর্ণবার নৌকায় ভোট দানে ভেদাভেদ ভুলে সকলকে এগিয়ে আসার জোর আহবান জানান।
Discussion about this post