দুই যুবককে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অপরাধে একাধিক মামলার আসামি সোলাইমান বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর ২ নং গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া সোলাইমান বাদশা পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর দুই নম্বর গেইট গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, গত ৮ নভেম্বর ইমাম হোসেন মানিক ও সোহেল নামে দুই বন্ধুকে অপহরণ করে ফ্লাইওভারের নিচে একটি রুমে আটকে রাখে। মানিকের মা রোকেয়া বেগম থানায় এসে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে বায়েজিদগামী ফ্লাইওভারের নিচের একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে মানিক ও সোহেলকে উদ্ধার করে। ওই কক্ষ থেকে রায়হান (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক মামলার আসামি সোলাইমান বাদশার অনুসারী রায়হান দুই নম্বর গেট মসজিদ গলির মৃত মো. ইসহাকের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, দুই বন্ধুকে ষোলশহর এলাকা থেকে অপহরণ করে ফ্লাইওভারের নিচে ওই কক্ষে আটকে রাখে সোলাইমান বাদশা ও তার অনুসারীরা। তারা দুইজনের পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি নাজিম উদ্দিন আরও জানান, মামলায় সোলাইমান বাদশাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। সোলাইমান এর আগেও অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কারাভোগ করে। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে দুই নম্বর গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
উল্লেখ্য, জিইসির মোড় ও ষোলশহর এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জিইসির মোড় এলাকা থেকে ষোলশহর পর্যন্ত ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে সোলাইমান বাদশা। দুই নম্বর গেইট থেকে অক্সিজেনগামী টেম্পো থেকেও নিয়মিত চাঁদা নেয় সে। ফিনলে শপিং সেন্টারের গলিতে থাকা প্রায় ৪০টি ভ্যান থেকে দৈনিক ১১৫ টাকা করে মাসে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সোলাইমান বাদশা।
চাঁদা তুলতে সোলাইমান বাদশার নিজস্ব গ্রুপ সদস্যরা হলো: তুহিন, রায়হান, ইসমাইল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, মিঠু, ইয়াছিন ভুঁইয়া, শামীম, ফারুক ও আসিফ সহ আরও বেশ কয়েকজন ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম করে বেড়ায়। যেমন- ইয়াছিন জিইসি থেকে সানমার পর্যন্ত ফুটপাতে চাঁদা তুলে। রবিবারের অপহরণের ঘটনায় ইসমাইল, মিঠু, তৌহিদুলসহ আরো ৪/৫ জন জড়িত ছিল।
পাঁচলাইশ থানার ওসি জানান, অপহরণ মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তারে করতে অভিযান চলছে।
Discussion about this post