নির্মম হত্যাকান্ডের পর ছয় টুকরো করে ফেলে দেওয়া শিশু আয়াতের খণ্ডিত মাথার অংশ উদ্ধার করেছেন পিবিআই। নিখোঁজ হওয়ার দিনও মাথায় ক্লিপ দিয়ে মক্তবে কোরআন শিখতে গিয়েছিল শিশুকন্যা আয়াত। আয়াতের খন্ডিত মাথা উদ্ধারের পর দেখা গেলো মাথার চুলে আটকে আছে সে ক্লিপও। মাথার সেই ক্লিপটি শনাক্ত করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আকমল আলী স্লুইচ গেইট এলাকার সাগরপাড় থেকে পলিথিন মোড়ানো মাথার অংশটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই)।
নগরীর ইপিজেড এলাকায় খুন হওয়া শিশুর আয়াতের মাথার অংশ পেয়েছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সাগরপাড়ে তল্লাশী চলাকালে মাথার অংশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোঃ ইলয়াছ খান। তিনি বলেন, নির্মম হত্যার শিকার শিশু আয়াতের পায়ের অংশ আমরা গতকাল পেয়েছিলাম। আজ তল্লাশীর সপ্তম দিনে মাথার অংশ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে পিবিআই এর পরিদর্শক মর্জিনা আক্তার দৈনিক অর্থনীতিকে বলেন, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা স্যারের নেতৃত্বে এটি আমাদের টিমের একটি বড় সাফল্য। যদিও আমরা চেয়েছিলাম শিশু আয়াতকে জীবিত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফেরত দিতে। কিন্তু সেটিতো হলো না।
আয়াতের পরিবারের শেষ চাওয়া ছিল মাথার অংশ হলেও যেন খুঁজে দিই। আমরা একটানা তল্লাশীর সপ্তম দিনে তার মাথার অংশ পেয়েছি। গতকাল পায়ের অংশ পেয়েছিলাম। এটি পিবিআইয়ের দলগত সফলতা।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে আবিরকে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবীর জানায় মুক্তিপনের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে পানিতে ফেলে দেয়।
পেশায় পোশাক কারাখানার শ্রমিক আবির এক সময় আয়াতের দাদার বাড়িতে ভাড়া থাকতো । ১৯ বছর বয়সী এ যুবক বর্তমানে ওই এলাকার আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকে।
ইতোমধ্যে আবিরকে পিবিআই প্রথমে দুই দিন এবং দ্বিতীয় দফায় সাত রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল (২৯ নভেম্বর) তার মা-বাবা দুইজনকে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।