অনিয়মের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নাবিল গ্রুপ ও এস আলম সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রিট আবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ইসলামী ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনলে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন বলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান।
গত ২৪ নভেম্বর প্রথম আলো পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা অসাধু চক্র তুলে নিয়েছে। এই ধরনের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে আমরা সংক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। তাই তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
কাগুজে দুই প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার (৩০ নভেম্বর) এক আইনজীবীে আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিতে দ্বৈত বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।
আদালতে বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট বলেন, প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে রিট আবেদন আকারে কোর্টে আসুন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা আজই (বুধবার) আদালতে রিট করব।
এদিকে কাগুজে দুই প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নেয় একটি চক্র। সব মিলিয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন উপায়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। একইভাবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকেও ২ হাজার ৩২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে কোম্পানিগুলো।
সবশেষ এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি ঋণ নিয়েছে, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনটিও আদালতের নজরে আনা হয়।
Discussion about this post