পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনায় জামানত ছাড়াই ঋণ পাবেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আর এ ঋণের সুদহার হবে ৫ শতাংশ।
রোববার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনায় পরিবেশবান্ধব খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় নতুন করে ফ্ল্যাট কেনা-নির্মাণ ঋণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এতদিন চার শতাংশ সুদে তহবিল পেত। বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদহার সব পর্যায়ে এখন এক শতাংশ করে কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে পরিবেশবান্ধব হিসেবে ৬৮টি পণ্যে কম সুদহারে এ ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন করে ফ্ল্যাট কেনায় ঋণের বিষয়টি যুক্ত করা হয় এ নির্দেশনায়।
নির্দেশনা মতে, পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনায় ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছর মেয়াদি ঋণ নেওয়া যাবে। অর্থাৎ এ ঋণ নেওয়ার পর কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে এর দেড় বছর পর। ক্ষুদ্র ইউনিট সমন্বিত বহুতল বিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণেও এ ঋণ দেওয়া হবে। আবাসন খাতের কোম্পানিগুলো ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে এ খাতে ৫ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদহারে ঋণ দেবে। এক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম মেয়াদি ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৫ শতাংশ, পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদে সুদহার হবে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি মেয়াদি ঋণের সুদহার হবে ৬ শতাংশ।
এ ছাড়া পুনঃঅর্থায়নের কর্মসূচির আওতায় বনায়ন (সামাজিক, সমন্বিত/কৃষি), ছাদের কৃষি/উল্লম্ব চাষ বা বাগান, বায়োফ্লক মাছ চাষ, জৈব চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, কেঁচো কম্পোট সার উৎপাদন, স্লারি হতে জৈবসার প্রস্তুতেও ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো।
Discussion about this post