২৭কেজি ওজনের পোয়া মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা,আরেকদিকে ১২০টি লাল কোরাল মাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, অন্যদিকে ১লাখ ২০হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে দেড়শ কেজি ওজনের বোল মাছ। গেল সপ্তাহ থেকে আজ পরযন্ত বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে এক এক জালে ধরা পড়েছে ১৫ মণ ওজনের ১২০টি লাল কোরাল মাছ ।এছাড়া টেকনাফ সেন্টমার্টিনে এক জেলের পোঁপা মাছের জালে দেড়শ কেজি ওজনের ধরা পড়ে বোল মাছ এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে ২৭ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছও ধরা পড়ায় দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। সাধারণত বড় মাছগুলো ধরা পড়ে শীতের মৌসুমে। কিন্তু অসময়ে মাছগুলো ধরা পড়াতে জেলেরা বেশ খুশি।
বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে এক জালে ১৫ মণ ওজনের ১২০টি লাল কোরাল মাছ ধরা পড়ে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের মালিকানাধীন এফবি রহমান নামের ট্রলারে বৃহস্পতিবার মাছগুলো ধরা পড়ে। একেকটি মাছের ওজন সাড়ে চার থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত।
ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ফিশারিজ ঘাটে পৌঁছালে স্থানীয় উৎসুক জনতা মাছগুলো দেখতে ভিড় করেন। মাছগুলো তিন লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ বলেন, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ফিশারিজ ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মোহাম্মদ আলী মাঝির নেতৃত্বে নয়জন জেলে ছিলেন ট্রলারটিতে। গতকাল সন্ধ্যায় মৌলভীর শীল এলাকায় সেন্ট মার্টিন চ্যানেলে ট্রলারটি নোঙর করে জেলেরা জাল ফেলেন। সকাল ১০টার দিকে জাল টানা শুরু করেন জেলেরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জাল টেনে উঠিয়ে তাঁরা ১২০টি লাল কোরাল জালে ধরা পরে এবং আরও ২৫-৩০ কেজি অন্য প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো ফিশারিজ ঘাটে নিয়ে এলে ২০ হাজার টাকা মণ দরে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, লাল কোরালগুলো স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ লালু তিন লাখ টাকায় কিনেছেন। তবে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়ে থাকে ৫০০-৬০০ টাকায়। এখন মাছগুলো বরফ দিয়ে প্যাকেট করে উপযুক্ত দাম পাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হবে।
এদিকে টেকনাফ সেন্টমার্টিনে আর এক জেলের পোঁপা মাছের জালে দেড়শ কেজি ওজনের বোল মাছ ধরা পড়েছে। মাছ শিকার পেশায় ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় জেলে পরিবারে উল্লাস নেমে এসেছে।জানা যায়, ২৩ এপ্রিল (শনিবার) আজ ভোরে টেকনাফ সেন্টমার্টিনের জেলে রশিদ আহমদ বঙ্গোপসাগরে পোঁপা মাছের জাল ফেলতে যায়। জাল টেনে তোলার সময় বিরাট একটি বোল মাছ দেখতে পেয়ে নৌকার মাঝি-মাল্লারা উল্লাসে মেতে উঠে। মাছটি ধরে ঘাটে নিয়ে এসে ওজন করে ৩মণ ৩০ কেজি অর্থাৎ দেড়শ কেজি ওজনের হয় ।মূল্যবান এবং সুস্বাদু এই মাছের প্রতি কেজির দাম ৮শ টাকা দর ১লাখ ২০হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। ক্রেতা মোঃ ইসমাঈল সওদাগর মাছটি টেকনাফ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মাছ পাওয়া সেন্টমার্টিন ডেইল পাড়ার জেলে রশিদ জানান, এই মাছ মহান আল্লাহর দেওয়া ঈদের হাদিয়া স্বরূপ। এই মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে আমি স্বপরিবারে আনন্দে ঈদ করতে পারবো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এই ধরনের একটি খবর আমিও শুনেছি । ইতিমধ্যে মাছের ছবিও আমি সোসাল মিডিয়াতে দেখেছি।
অন্যদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে ২৭ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরা পড়েছে; যার বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিকেল সুতা তৈরি হয়। মঙ্গলবার ভোরে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এফবি এ এম নামে ফিশিং ট্রলারের জেলেরা মাছটি ধরেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাছটি মিস্ত্রীপাড়া ফিশারি ঘাটে নেওয়া হয়। এর দাম হাঁকানো হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা।
স্থানীয়রা মাছটিকে ‘কালা পোপা’ নামে চিনলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি বলে টেকনাফের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মাছটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। তবে মাছটির দাম সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় মাছটি কক্সবাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে।
এফবি এ এম ফিশিং ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ হাসু বলেন, গত সোমবার সকালে মাছ ধরার জন্য শাহপরীর দ্বীপ থেকে নয়জন মাঝি বঙ্গোপসাগরে রওনা হয়। মঙ্গলবার ভোরে জাল ওঠাতে গিয়ে কয়েকটি লাল কোরালসহ বড় একটি ’কালা পোপা’ ধরা পড়ে। বিষয়টি ট্রলারের মালিককে জানালে তিনি ঘাটে চল আসতে বলেন। মাছটি পেয়ে জেলেরা খুব খুশি বলে জানান হাসু। ২৭ কেজি ওজনের পোপা মাছের খবরটি শুনেছেন বলে জানান টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, এত বড় পোপা মাছ সাধারণত ধরা পড়ে না। মাছটির বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিকেল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বে এর ব্যাপক চাহিদা
Discussion about this post