স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ”এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূলে, যদি এরকম থাকে সব দেখে আমরা মার্কেট খুলে দেবো।” বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ”আমি ব্যবসায়ীদের বলেছি আজ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সাত কলেজের ছাত্ররা নাকি ঢাকা অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নুরুল হক নুররাও ওদের সঙ্গে শামিল। ইডেনের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামার কথা বলেছে; বুঝে হোক আর না বুঝে হোক।পরিস্থিতি যাতে আর ঘোলা না হয়, সেজন্য আমি বলেছিলাম আজ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরিস্থিতি দেখে তারপর দোকান খুলতে।” পরিস্থিতি এখন মার্কেট খোলার জন্য অনুকূল বলে মনে করেন কি না- এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ”এখন পর্যন্ত অনুকূলে, যদি এরকম থাকে, সব দেখে আমরা মার্কেট খুলে দেবো।”
দুই দোকানের কর্মীদের বিরোধের জেরে গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরও ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা যায়।
দুদিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১১ জন সাংবাদিক, ঢাকা কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ (১৮) নামের এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট।
Discussion about this post