বাজারে ৪০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি।রোজার আগেই বেগুনের সেঞ্চুরি আর রোজার প্রথমার্ধে লেবুর ডাবল সেঞ্চুরিতে সবজি বাজার চলে গেছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এবার একই তালিকায় নাম লিখিয়েছে শিম।শুক্রবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে আগের দামেই বেগুন প্রতিকেজি এখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোজার আগে বেগুনের কেজি ছিল ২০-৪০ টাকা। একইভাবে শিমের কেজি ছিল ৫০-৬০ টাকা। কিন্তু রোজা শুরু হতে না হতেই লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে সবজির দাম।এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা যুক্তি দেখাচ্ছেন, রোজায় মানুষ ইফতারিতে বেগুনি পছন্দ করে। এতে করে বেড়ে যায় বেগুনের চাহিদা। ফলে বাড়ে দাম।
এদিকে শিমের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিমের মৌসুম শেষ। বাজারে যেসব শিম আসছে সেগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করা। পরিমাণে কম হওয়াই শিমের দাম বাড়তি।সবজি বিক্রেতারা জানান,রোজার মৌসুমে সবসময়ই দাম বাড়তির দিকে থাকে।তার মধ্যে বাজারে শিমও আসছে কম। কিন্তু ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শিমের চাহিদা থাকায় বেড়ে গেছে এ সবজিটির দাম।মৌসুম শেষ হলে দাম আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
সবজির দাম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপের সঙ্গে ক্রেতারা বলেন, বাজারে ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ১০ টাকার শাকও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। বাজারে সবকিছুর দাম এত বেশি যে আমাদের মতো ছাপোষা মানুষদের টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।আরেকজন ক্রেতা বলেন, কদিন আগেও শিমের দাম দেখে গেলাম ৬০ টাকা কেজি। আজকে বাজারে এসে শুনি সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়। সবজির দাম নিয়ে বিক্রেতারা যা ইচ্ছে তাই করছে। দেখারও কেউ নেই। নেই কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা।
যদিও রোজার প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরপরই কমেছে শসার দাম। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসা এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।শসার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।সাজনার ডাটা গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। চাষ করা শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।
মাছের মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের। ব্যবসায়ীরা আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। আর গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।