রমজানকে ঘিরে এখনও চড়া মাছ মাংস ও সবজির বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মাঠ পর্যায়ে অভিযান চালায়। কিন্তু দেখা যায়, অভিযান যতক্ষণ চলে দামও ঠিক নিয়ন্ত্রণে থাকে ততক্ষণ।একেক মার্কেটে একেক দরে বিক্রি হয় পণ্য। বেশিরভাগ কাঁচাবাজারে মূল্য তালিকা টাঙানো থাকে না। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রমজানের শুরু থেকে দফায় দফায় বেড়েছে শসা, বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম। এছাড়া ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মাছ ও মাংসের বাজার । ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের চাহিদার সাথে যোগানের মধ্যে, অসমাঞ্জস্য রয়েছে। এর ফলে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি,বহদ্দারহাট,রেয়াজউদ্দিন বাজার ও বেটারি গলিসহ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতা করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া লাউ প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৪০ টাকা ও পাকা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা এবং আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। অন্যদিকে বরবটি ৬০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা বাঁধাকপি ৬০ টাকা, লেবু প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সবজির বাজারে এখন সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে। সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়তি।
অপরদিকে গতকাল নগরীর বিভিন্ন মাছ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশী শিং মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়, কই ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, মাগুর ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, শৈল ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, রুই ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ টাকা ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং কেঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, লইট্টা ১৩০ টাকা, মাগুর ৫৫০ টাকা, কোরাল মাছ ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা (সাদা) ৮০০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং রূপচাঁদা (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
অন্যদিকে মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়। অপরদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায়।
Discussion about this post