ভোজ্যতেল নিয়ে সংকট না কাটতেই অস্থির হয়ে উঠছে ডাল, আটা, লবণসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। খুচরা পর্যায়ে দেশি মসুরের ডালের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়ে উঠেছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহ ব্যবধানে আটার দাম বস্তায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকা। এদিকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায়ও বাজারে কাটেনি তেল সংকট। খুচরা পর্যায়ে মানা হচ্ছে না সরকারের নির্ধারিত দাম।
এ যেন ‘সেরের ওপর সোয়া সের’ অবস্থা। ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে এমনিতেই ভোগান্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ডাল, লবণ ও আটা-ময়দার দাম।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট নতুন কাঁচাবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। আমদানি করা ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। লবণের দামও কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে আটা ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, ”তেলের পেছনে ছুটতে গিয়ে নজরদারির বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব পণ্যের বাজার।”
প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা নিত্যপণ্যের দামে বিপাকে পড়া এক ক্রেতা বলেন, ”সব দ্রব্যমূল্যের দামই ঊর্ধ্বগতি। ৮ হাজার টাকা বেতন পাই। ৫ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দেই। এ পরিস্থিতিতে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। গ্রামে তো ঘরভাড়া লাগবে না। কোনো মতে খেয়ে থাকা যাবে।”
এদিকে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের। তারা অভিযোগ করে বলেন, ”লকডাউনের সময় যখন দেশের খাদ্যদ্রব্যের সংকট ছিল তখনই মোটা মসুরের ডাল ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সেটিই এখন ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাহলে এটি কৃত্রিম সংকট বলাই যায়।”
মোহাম্মদপুর পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই তেলের সংকট কাটেনি বলে দাবি করলেন ব্যবসায়ীরা। মিল মালিকদের বিরুদ্ধে রয়েছে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর অজুহাতে খুচরা পর্যায়ে ৫ লিটারের বোতলে ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দামে তেল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তেলের সরকারির নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে একজন ক্রেতা বলেন, ”সরকারের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী এ পণ্যটির দাম হওয়া উচিত ছিল ৭৯৫ টাকা, তবে তারা আমদের কাজ থেকে ৮০০ টাকা নিয়েছে।”