সামরিক যুদ্ধের পথে না গিয়ে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটির আগের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন করে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশ এসব নিষেধাজ্ঞা সরাসরি বিরোধিতা করেছে সব মিলিয়ে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পর্যন্ত পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি আর যেতে চান না। এদিকে যুদ্ধের সর্বশেষ খবরে জানা গেছে যেভাবে রুস বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে, শহরে বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন।
খবরে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জ্বালানি সরবরাহ কারী দেশ রাশিয়া। কিন্তু মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া তেল গ্যাস কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়া থেকে শুরু করে একের পর এক কোম্পানি।
আইবিএম থেকে শুরু করে পিৎজা হাট,কোকাকোলা, স্যামসাং ম্যাকডোনাল্ডসসহ একাধিক কোম্পানির ব্যবসা বন্ধ করে দেয়, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাশিয়া উল্লেখ করেছে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে।
ন্যাটো জোটের বিভক্তি এ প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইউক্রেন বিমানবাহিনীর ব্যবহারের জন্য যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ।মঙ্গলবার ২৯ বিমানের অবিলম্বে ও বিনা খরচে জার্মানিতে থাকা মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে দ্রুতই ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটনের যুক্তি বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এছাড়া ইউক্রেন সীমান্তের বাইরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার চাপ পড়তে দিতে অস্বীকৃতি জানায় ওয়াশিংটন। কথা বলতে চান না নেতারা রাশিয়া আক্রমণের প্রতিবাদে। দেশটির চালানে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিকল্প উৎসের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্র এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা করলেন বলে সদিআরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতাদের ফোন করেছিল হোয়াইট হাউস কিন্তু তারা কথা বলতে রাজি হননি। খবরে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে তখন এই খবর জানা গেল যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন ইউক্রেনের রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর সাম্প্রতিক যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান উভয় বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতার কথা জানান ।দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট যুক্তরাষ্ট্রের আরো সাহায্য চাই। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তা চাই ।সৌদি আরব কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করবে রাশিয়া কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
হিসেবে বলা হয়েছে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা ও শিল্পের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিশ্চিত করা পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পণ্যের তালিকা এবং কোন কোন দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা নির্ধারণ করবে রাশিয়ার মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে রাশিয়া তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক ঘন্টার মধ্যে কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া তেল ও গ্যাস আমদানি তাৎক্ষণিক নিষিদ্ধ করেছে। আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে ,তারা ধাপে ধাপে হোস্টেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলবে বলেছে। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার দ্রুত জবাব দিতে তাদের নেতারা কাজ করবে। খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপক জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া তারা বলছে জবাব হবে দ্রুত এবং অধিকাংশ সংবেদনশীল ক্ষেত্রে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভাগের পরিচালক দিমিত্রি বলেন, ’’রাশিয়ার জবাব হবে দ্রুত, দূরদর্শী ও সংবেদনশীল।,,
কিভাবে বোমা বর্ষণ করে? হামলা অব্যাহত থাকায় তারা অবরুদ্ধ শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নিতে পারছেনা। ইউক্রেনের রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় রুশ বাহিনী আবারো বোমা বর্ষণ করেছে ।গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয় ও আশপাশ এলাকায় অবস্থানরত সাংবাদিকরা বিস্ফোরণের ধারাবাহিক খবর দিচ্ছেন। আবারো বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে অন্তর জুড়ে বিমান হামলার গতকাল সকাল থেকে শহরে শোনা যায়। এ অবস্থায় অনেকেই বাংকারে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
আরেক খবরে বলা হয় ইউক্রেনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতের রাশিয়ার বিমান হামলায় শিশুসহ দু’জন নিহত হয়েছেন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো এ খবর জানায় ।আঞ্চলিক গভর্নর বলেন, ’মঙ্গলবার রাতে শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়া রাতে মোট তিনবার বোমা হামলা হয়েছে ।বৃহস্পতিবার ছিল একটি ভয়াবহ শহর। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী বিমান হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। ৬টি ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ।এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০টি বাড়ি ।
জেলেনস্কি বলেন ‘’ আমি এখন এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাইনা যে দেশটি হাঁটু গেড়ে কিছু ভিক্ষা করে।’’
যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে ও সংস্কৃতির বিষয়টি রয়েছে। এ দুটি এলাকাকে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি একটা অ্যাপস করার জন্য আমি খোলা মনে আছি। জেলেনস্কি বলেন আমি নিরাপত্তার গ্যারান্টি কথা বলছি, এ দুটি অঞ্চলের রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আমরা এ অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারি পর্যবেক্ষকরা বলছেন ।জেলেনস্কি এমন মন্তব্যে যুদ্ধ সমাপ্তির নতুন আসা দেখা যাচ্ছে ।কারণ রাশিয়া আক্রমণ করেছে মূলত এ দুটি অজুহাতে। তারা আরো বলেছেন জেলেনস্কি এখন একটি সমঝোতার জন্য জোর চেষ্টা করছেন।
রাশিয়া আর সাত দশ দিন টিকিয়ে রাখতে চাই। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দাবি করেছেন অন্তত যেকোনো বিষয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে রাশিয়া এক্ষেত্রে বন্দরনগরীর কিংবা রাজধানী সবচেয়ে পছন্দের ফেসবুক পোস্টে আলোচনা হওয়ার আগে আমাদের অন্তত কিছু বিজয় দরকার। সে কারণে আমাদের কাজ হল আগামী ৭ থেকে ১০ দিন টিকে থাকা গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ইউক্রেনের হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার লক্ষ্য দেশটির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। পুতিনের সেনাবাহিনীর প্রতি জেলায় ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছেন তবে সরকার হঠাৎ পরিবর্তন করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি করে তারা আলোচনার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে চান দেশটির সরকার হটানোর কোন পরিকল্পনা তাদের নেই রাশিয়া। আরও দাবি করছেন ইউক্রেনের ১৪০০০০ নাগরিক তাদের দেশে এসেছেন। ইউক্রেন নেতারা পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করছেন ।এ প্রসঙ্গে গতকাল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারিয়া বলেন, রাশিয়া লক্ষ ইউ ক্যান গেট নিরপেক্ষ করা। অর্থাৎ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। আর এটা তারা আলোচনার মাধ্যমে করতে চান ।পরবর্তী ধাপের আলোচনায় এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি তুরস্কের রাশিয়া-ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন।
Discussion about this post