দীর্ঘদিন ধরে এই স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানির জন্য ব্যবসায়ীরা দাবি জানান। সম্প্রতি তা নাকচ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
আশাবাদী কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, ”বৈধ পথে পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে আরও চাঙা হয়ে উঠবে স্থলবন্দরটি।”
গত দু’দশক ধরে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে শতভাগ পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। কিন্তু বর্তমানে বন্দরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্থবির। ২০১৭ সালে ভারতের দুর্গম রাজ্যগুলোর সঙ্গে ত্রিপুরা পর্যন্ত দেশটির রেলপথ স্থাপন হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয় দেশটি। ফলে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে অনেকটাই ভাটা পড়ে যায়। এ অবস্থায় স্থলবন্দরটিকে চাঙা করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য ছাড়া সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানি করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের এ দাবিটি নাকচ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে ক্ষোভ জানান স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে গম, চাল আমদানি হলেও সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানির সুযোগ হয়নি। সুযোগ হলে কর্মচাঞ্চল্যতা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ”সব পণ্য আসা বৈধ করে দিলে অবৈধ পথে আর পণ্য আসত না। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেত। এনবিআরকে জানানো হয়েছে কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি।”
সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ”বৈধ সব পণ্যের আমদানি অনুমতি দিলে এই বন্দরের রাজস্ব অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আখাউড়া স্থলবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার বলেন, ”দ্রুত টার্মিনাল হবে। এটি নির্মাণ হলে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।”