নাটোরে কন্দ জাতের পেঁয়াজের মৌসুম শেষপর্যায়ে আসায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজির দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমান দামে ভালো লাভবান হওয়ায় চারা জাতের পেঁয়াজ আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আর চারাজাতের পেঁয়াজ বাজারজাত না করা পর্যন্ত বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি করেছেন কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি দাম পেয়ে নাটোরের বৃহত্তম নলডাঙ্গা হাটে শনিবার সরবরাহ বৃদ্ধি করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে পাওয়া দামে কৃষকরা লোকসান গুনলেও বর্তমান দামে ভালো লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।
প্রতিকেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ২৫ টাকা খরচ হওয়ায় বর্তমান দামে ভালো লাভ করছেন কৃষকরা। এর ফলে চলমান চারা জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন রোপণে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
আর পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চারা জাতের পেঁয়াজের প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা নির্ধারণের দাবি করেন কৃষকরা। পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত বিদেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের দাবি করেছেন কৃষকরা।
বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে আসায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি আড়তদারদের। গত মৌসুমে নাটোর জেলায় প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ হয়েছে। এর মধ্যে নলডাঙ্গা উপজেলায় উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।
Discussion about this post