পর্যটনশিল্পের ওপর করোনাকালীন সরকারি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। দীর্ঘ ঘরবন্দি জীবন থেকে স্বস্তি পেতে পর্যটকরা ছুটে আসছেন এখানকার মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
করোনার ঊর্ধ্বগতি বারবার হানা দিচ্ছে পর্যটনশিল্পের ওপর। নিঃস্ব করে দিয়েছে এই ব্যবসায় বিনিয়োগকারী অনেককেই। সিলেট অঞ্চলে গত দুই বছরে এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বলে দাবি পর্যটনসংশ্লিষ্টদের। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় স্বস্তি ফেরার পাশাপাশি আশার আলো দেখছেন তারা।
ঘুরতে আশা দর্শনার্থীরা জানান, বাসায় থেকে থেকে একধরনের মানসিক প্রেসার হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য মনে করি পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া উচিত। তাই একঘেয়ে জীবনে অতিষ্ঠ হয় সুদূর নারায়ণগঞ্জ থেকে এখান ঘুরতে এসেছি।
এদিকে পর্যটনশিল্পের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খুশি।
পর্যটন খাতের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৪ ট্রিলিয়র ডলার বিশ্বব্যাপী ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে আমাদের মনে হচ্ছে, প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। আশা করি, এখন এটি কাটিয়ে ওঠার সময় এসেছে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগে ৫০০ এরও বেশি হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টহাউজ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে পর্যটনশিল্প। এ শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আবার নতুন করে সাজাতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।