ভারত থেকে এক দিনেই রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হিলি স্থলবন্দরে।
হিলি স্থলবন্দরে বাড়তে শুরু করেছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। গত একমাস ধরে দুই- চার ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও গত দুইদিন থেকে তা বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার একদিনে আমদানি হয়েছে ভারতীয় ২৯ ট্রাক পেঁয়াজ।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির খবরে বন্দরে আসতে শুরু করেছে পাইকাররা। ফিরেছে কর্ম চাঞ্চল্য। বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক কয়েকজন জানান, ‘গত একমাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অনেকটাই কম ছিল, কারণ বাংলাদেশ মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি ছিল। যার কারণেই ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হতো। ‘লস’ হবার কারণে আমরা আমদানিকারকরা পেঁয়াজ কম আমদানি করেছিলাম।’
তবে কদিন আগে বাংলাদেশে হঠাৎ অসময়ের বৃষ্টির কারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কৃষকরা জমি থেকে উঠাতে না পারায় দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে এবং দামও বৃদ্ধি পায়। বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা থাকার কারণেই মূলত ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরে নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩১ টাকা দরে। এবং ইন্দ্র জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে। এই সব পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা-সিলেট ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
হিলি পানামা পোর্ট লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের আমদানি খুব অল্প ছিল, তবে গত দুইদিন থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সাথে সাথে বন্দরের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের আলাদা স্থান করে দেওয়া হচ্ছে যাতে করে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করার পরে সেগুলো জন্য দ্রুত বের করতে পারে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম খান জানান, পেঁয়াজ আমদানির পরে শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড় দেওয়া হচ্ছে যাতে কাঁচা পণ্যটি দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন ব্যবসায়ীরা।
কাস্টমসের হিসাব মতে গত এক সপ্তাহে ২৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও শুধু মাত্র মঙ্গলবার ২২ শে ফেব্রয়ারি ২৯ ট্রাকে ৮৩৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
Discussion about this post