রাঙামাটিতে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পর্যটকদের চাহিদার কারণে শহরে গড়ে ওঠেছে স্থানীয় তাঁতের তৈরি পোশাকের শতাধিক দোকান। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অনেকটাই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
শীত মৌসুমে হ্রদ, পাহাড় আর মেঘের মিতালি উপভোগ করতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। প্রকৃতির পাশাপাশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে স্থানীয় তাঁতের তৈরি পোশাক।
রাঙামাটির সব থেকে বড় টেক্সটাইল মার্কেটে ছোটবড়ো মিলে প্রায় ৩০টি দোকান রয়েছে। চলতি পর্যটন মৌসুমে ব্যবসার আশায় প্রতিটি দোকানেই মজুত করা হয় বাহারি সব পণ্য। প্রতিটি শোরুমে শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের বিভিন্ন সাইজের শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, কিংবা পিনন খাদি। এছাড়াও ব্যাগ, বাঁশ-বেতের শো পিসতো আছেই।
কিন্তু ওমিক্রন সর্তকতা জারির পর থেকেই পর্যটকের আগমন অস্বাভাবিকহারে কমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমেও ক্রেতাশূন্য তাঁত পণ্যের দোকানগুলো।
ব্যবসায়ের অচলাবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের কাছে এক টাকাও পুঁজি নেই। এটিই আমাদের একমাত্র সম্পদ। এটিই যদি না চলে তাহলে আমরা কি করব। এ মৌসুমে আমাদের ব্যবসা জমে উঠার কথা। তবে ব্যবসা একদমই চলছে না। বেচাকেনা একদমই নেই। মাঝেমধ্যে ৫০০ টাকার পণ্য বিক্রি হয়। না হয় আমরা সারাদিন বসে কাটাই।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তার দাবি জানান রাঙামাটি টেক্সটাইল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির আহম্মেদ। তিনি বলেন, এ ক্ষতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসব, তা আমরা বুঝতে পারছি না। সরকারি কোনো সহায়তা বা প্রণোদনা পেলে আমরা এ ক্ষতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
টেক্সটাইল মালিক সমিতির তথ্যমতে, এই মৌসুমে তাদের ৩ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।